কন্দন রতা জননীর পাশে
সারসংক্ষেপ হুগলি সকলেই জানে, শাসকের ভুল নীতি এবং স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্র আর দেশকে বিপর্যস্ত করে। মানুষের নিশ্চিন্ত জীবন আর জীবনের শাস্তি এর ফলে হয়ে পড়ে অনিশ্চিত। তৈরি হয় সামাজিক তার বিপন্নতা। আর সেই অস্থির সময়েই কবিকে দায়বদ্ধ হতে হয়। ক্রন্দনরতা জননীর পাশে দাঁড়াতে হয়। না হলে সাহিত্য-সংগীত ভরতি কিংবা চিত্রকলার সৃষ্টি মূল্যহীন হয়ে যেতে বাধ্য। কবি দেখেছেন কেই তার নিহত ভাইয়ের মৃতদেহ। কবির মূল্যবোধ এই হত্যার প্রতিবাদে ক্রোধের জন্ম দেয়, কারণ তিনি ভালোবাসেন তাঁর সমাজকে, সমাজভুক্ত মানুষদের। শোষকের চক্রান্তে নিখোঁজ মেয়ের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ পাওয়া যায় জঙ্গলে। এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে দায়বদ্ধ কবির পক্ষে সম্ভব ছিল না বিধির বিচার চেয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। তাই কবিতায় তিনি জাগিয়ে রাখেন তার বিবেক। বারুদের মতোই সেই বিবেক জেগে থাকে বিস্ফোরণের অপেক্ষায়। নামকরণ কবির চেতনা জুড়ে রয়েছে সেই স্বদেশ যেখানে নিপীড়নের চিহ্ন প্রতি পদক্ষেপে। চোখের সামনে তিনি দেখেন ভাইয়ের বিশেষ মৃতদেহ, জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া নিখোঁজ মেয়ের ছিন্নভিন্ন দেহ। এই অবস্থায় কবির বিবেক জাগ্রত হয়ে ওঠে। তার মনে হয় তার...