আকাশে সাতটি তারা
প্রশ্ন কবি কাকে কেন শান্ত অনুগত বলেছেন?
উত্তর কবি বাংলার সন্ধ্যা কে শান্ত অনুগত বলেছেন। সন্ধ্যা নিঃশব্দেদে বাংলার প্রকৃতির বুকে নেমে আসে বলে তা কেলে তাকেে শান্ত অনুগত বলেছেন।
প্রশ্ন কেশবতী কন্যা বলতে কবি কাকে বুঝিয়েছেন?
উত্তর বাংলার নীল সন্ধ্যা কে বুঝিয়েছেন।
প্রশ্ন কবিতায় কোন কোন মাছের নাম উঠে এসেছে ?
উত্তর চাঁদা সরপুঁটি
প্রশ্ন বট ফলের গন্ধ ব্যথিত কেন?
পাকা লাল বটফল মাটিতে পড়ে থেতলে যায়। ঝরে যাওয়া টা বেদনাদায়ক তাই কবি একে ব্যতীত বলে মনে করেছেন।
প্রশ্ন আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠার পর কবি কি অনুভব করেন?
উত্তর কবি বাংলার প্রাণ অনুভব করেন।
প্রশ্ন কবি বাংলার সন্ধ্যা সম্পর্কে কী কী বিশ্লষণ ব্যবহার করেছেন?
উত্তর কবিতায় কবি বাংলার সন্ধ্যা কে শান্ত অনুগত কেশবতী কন্যা ও রুপসী এই বিশ্লেষণে বিশ্লেষিত করেছেন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন কিশোরীর হাত ভিজে হয়েছে কেন ?
তা কি রকম হয়েছে?
উত্তর - আলোচ্য অংশটি জীবনানন্দ দাশের লেখা আকাশে সাতটি তারা কবিতার অন্তর্গত।
কবিতায় বর্ণিত কিশোরীর হাত ধোয়ার জন্য ভিজে গেছে। সেই ভিজে থাকার দরুন শীতে বিবর্ণ থাকে।তাই তার হাতের কনকনে ঠান্ডার রূপের কথা এখানে উঠে এসেছে। চাল ধুতে যাওয়ার ফলে হাত ভিজে গেছে। ঠান্ডা থাকার ফলে তার হাত অসাড় হয়ে আসছে।
প্রশ্ন :- কবিতায় কবি কোন কোন গন্ধ অনুভব করেছেন?
উত্তর:- আলোচ্য কবিতায় কবি আম জাম কাঁঠাল এর গন্ধ, রূপসীর চুলের গন্ধ ধানের গন্ধ কর্মী্ম কলমির গন্ধ, পুকুরের জলের গন্ধ, চাঁদা, সরপুঁটি মাছের গন্ধ অনুভব করেছেন।
প্রশ্ন:-" মাঝে বাংলার প্রাণ"-বাংলার প্রাণ কে কবি কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন ? কবি এই উক্তি করেছেন কেন?
উত্তর:- বাংলার প্রাণ কে কবি আকাশে সাতটি তারার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
কবি আলোচ্য উক্তির মধ্যে দিয়ে প্রকৃতির বুকে নানান গন্ধ অনুভব করেছেন যা কবিকে ব্যথিত ও নিরব করেছে। তারই মধ্যে বাংলার প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পান ।আকাশে তারার বৈচিত্র কবিকে মোহিত করেছে।
প্রশ্ন। আমি এই ঘাস বসে থাকি- আমি কে তিনি এই ঘাসে বসে থাকেন কেন ?
উত্তর আমি বলতে কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশকে বুঝিয়েছেন।
অস্তগামী সূর্যের রাঙা মেঘ গঙ্গাসগরের ঢেউয়ে বিলীন হয়ে যায় কেশবতী কন্যার ঘন কালো চুলের মতো অন্ধকার নেমে আসে।ঠিক তখনই আকাশে ফুটে ওঠে সাতটি তারা যা প্রত্যক্ষ করার জন্য কবি ঘাসের উপর বসে থাকেন।
প্রশ্ন কেশবতী কন্যা বলতে কবি কাকে বুঝিয়েছেন। তাকে কেশবতী কন্যা বলার কারণ কি?
উত্তর: আলোচ্য কবিতায় কেশবতী কন্যা বলতে সন্ধ্যার অন্ধকারকে বুঝিয়েছেন।
কেশবতী কন্যার উচ্চারণের মাধ্যমে সামনে ভেসে ওঠে এলোচুলে এক রুপসী কিশোরীর ছবি।সন্ধ্যার অন্ধকার এর নরম সজীব প্লবত একমাত্র চুলের সঙ্গে তুলনীয় বলেই কবি এমন মন্তব্য করেছেন।
কিশোরীর চাল ধোয়া ভিজে হাত এর মাধ্যমে কোন অনুভূতি প্রকাশ পায়
এর মাধ্যমে কিশোরীর শরীর তার শীতলতা আসলে ঘর গৃহস্থালীর ভিতর থেকে ভালোবাসামাখা উষ্ণতা কেই তুলে আনে। গৃহস্থালির কাজেও কিশোরী মনের যে মমতা ভালবাসা আন্তরিকতা প্রকাশ পায় তার অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।শীতলতার আড়ালে মানব ধর্মের আরতি ও অনুরাগ এই চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে।
@@@@########@@@@@@
রচনাধর্মী প্রশ্ন
প্রশ্ন:--
আকাশে সাতটি তারা কবিতাটি নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
উত্তর:- বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ পরবর্তী বিখ্যাত কবি হলেন জীবনানন্দ দাশ। সৃষ্টিধর্মী সাহিত্যে নামকরণ বিষয় কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। আলোচ্য কবিতায় আকাশে সাতটি তারা কবির চোখে
কবির চোখে ধরা পড়েছে। কবি সেই দৃশ্য দেখার জন্য মাটিতে ঘাসের উপর বসে পড়েছেন। রাঙা মেঘকে কবি মৃত মুনিয়ার মতো দেখেছেন । যা গঙ্গা সাগরে ডুবে গেছে, কেশবতী কন্যার ছায়া কবি সন্ধ্যার আকাশে লক্ষ করেছেন। তার নরম হাতের স্পর্শ কবি দেখেছেন চাল ধোয়া জল এর ঠান্ডা ম য় অবস্থার মধ্যে। বাংলার সন্ধ্যা প্রকৃতির মাঝে ও সন্ধ্যার আকাশের সাতটি তারার মাঝে কবি প্রাণ খুঁজে পেয়েছেন। আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে। পাঠকের মনের পর্দাতেও যেন সাতটি তারা র ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই নাম করন টি যথার্থ এবং সার্থক হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=E3Uj6QeKYIU&t=28shttps://www.youtube.com/watch?v=E3Uj6QeKYIU&t=28s
https://www.youtube.com/watch?v=E3Uj6QeKYIU&t=28shttps://www.youtube.com/watch?v=E3Uj6QeKYIU&t=28s

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন